রুডলফ রকারের এনার্কো-সিন্ডিক্যালিজম: তত্ত্ব ও প্রয়োগ - রুডলফ রকার
ভাষান্তর- বি এ এস এফ
সূচি
১. প্রসঙ্গ কথা: নোয়াম চমস্কি
২. ভূমিকা: নিকুলাস ওয়াল্টার
৩. এনার্কিজম বা নিরাজবাদ- উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য
৪. আধুনিক শ্রমিক আন্দোলনের সূচনা ও প্রলেতারিয়েতের সংগ্রাম
৫. সিন্ডিক্যালিজমের অগ্রদূতগন
৬. এনার্কো-সিন্ডিক্যালিজমের উদ্দেশ্য
৭. এনার্কো-সিন্ডিক্যালিজমের পদ্বতী
৮. এনার্কো-সিন্ডিক্যালিজমের বিবর্তন
আসলে কারা সঠিক? ভাববাদীরা, না বস্তুবাদীরা? এরকম প্রশ্নে আমাদের বিন্দুমাত্র দ্বিধা থাকা চলবে না। আমাদের নি:সন্দেহে বলতে হবে যে ভাববাদীরাই ভুল এবং বস্তুবাদীরাই সঠিক। বস্তু এবং ভাব সম্পর্কে প্রুধো যেমনটি বলেছিলেনÑ “ভাব একটা ফুল, যেটার শেকড় আবার বস্তুবাদী অবস্থার মধ্যে নিহিত থাকে।” অর্থাৎ ঐ শেকড়টি ছাড়া ফুলের কোন অস্তিত্ব নেই। সেজন্য মানবতা, বুদ্ধিবৃত্তি, নৈতিকতা, রাজনীতি, সামাজিক বিষয়াবলী সবই তাদের অর্থনৈতিক ইতিহাসের একটা প্রতিফলন। অর্থনীতিটাই এখানে শেকড় অর্থাৎ বস্তু। একে কেন্দ্র করেই রচিত হয় ভাব।
দরিদ্র শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করুন।
বি এ এস এফ
শ্রম ও পুজির দ্বন্দ্ব চলে । শ্রমজীবীরা বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং উন্নয়নের চালিকা শক্তি। অথচ তারাই সবচেয়ে বেশি দুর্দশাগ্রস্ত ও বঞ্চিত। এই স্বল্প আয়ের মানুষদের মজুরি নিয়ে শ্রমিক-মালিক-সরকারের ত্রিমুখী লড়াই চললেও একপর্যায়ে পিছিয়ে যায় শ্রমজীবীরা। তবে হার মাননেনা তাঁরা । সেজন্য প্রয়োজন যুক্তিসঙ্গত আলোচনা, লড়াই ও সংগ্রামের।
সামাজিক বিপ্লবী পরিবর্তনের মাধ্যমে পুঁজিবাদ ও রাস্ট্রবাদকে বিতারিত করার জন্য এনার্কো-সিন্ডিক্যালিজম বা স্বাধীন শ্রমিক ইউনিয়ন হলো সবচেয়ে প্রাগ্রসর একটি চমৎকার মতবাদ, এবং পথ বা পন্থা। এই মতবাদ শ্রমিকদেরকে গণতান্ত্রিক পন্থায় নিজেদের লড়াই সংগ্রাম নিজেরাই যেন করতে পারে সেই পথ প্রদর্শন করে থাকে ।
বিপ্লবী ইউনিয়নবাদের মৌলিক নীতিমালা (আই ডব্লিউ এ)
(জানুয়ারী-২০২০ ইংরেজীতে হালনাগাদ করা হয়েছে)
১। ভূমিকা
মানব জাতির ইতিহাস হলো শোষক ও শোষিতের ইতিহাস, এখন তা পুঁজিবাদ ও রাস্ট্রে আগ্রাসী কর্মকান্ডের কারনে তা মানব জীবনের সকল স্তরে ছড়িয়ে পড়েছে।
পুঁজিবাদের ব্যবস্থাপক ও রাজনৈতিক নেতাগন তাঁদের নিজস্ব স্বার্থে সকল কিছু ব্যবহার করছে। আমরা যদি এদের বিরুদ্বে রুখে দাড়াঁতে চাই, আমরা যদি আমাদের নিজস্ব স্বার্থে এগিয়ে নিতে চাই, আমাদের আশা আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন চাই তবে চলমান শ্রমিক শ্রেনীর আন্দোলন সংগ্রামকে সুসংগঠিত করার আর কোন বিকল্প নেই ।
আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে হলে, আমাদেরকে এবং বিপ্লবী শ্রমিকদেরকে সত্যিকার অর্থে লড়াই সংগ্রামের জন্য স্ব স্ব দেশে এবং বিশ্ব জোড়ে ঐক্যবদ্ব হতে হবে। আমাদের সংগঠনকে এমন যোগ্যতা অর্জন করতে হবে যেন পুঁজিবাদ ও রাস্ট্রশক্তিকে সহজে পরাজিত করা যায় ।
এমন একটি আন্দোলন গড়ে তোলাতে চাই, যা কোন ভাবে পুঁজি ও শ্রমের মাঝে কোন প্রকার সংহতি স্বীকার করবে না। আন্তর্জাতিক শান্তির নামে পুঁজিবাদ ও রাষ্ট্র যন্তকে মেনে নেয়া হবে না । এই আন্দোলন আবার প্রচলিত ধারার শ্লোগান যেমন রাষ্ট্র বা প্রলেতারিয়েতের একনায়কত্বকে ও সমাজে ডেকে আনবে না । আমাদের সামগ্রীক লক্ষ্যই হবে মানুষের সত্যিকার স্বাধীনতা ও সকল মানুষের চূড়ান্ত মুক্তি ।